শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৪

রজনীকান্ত আর জলিল অনন্ত


একবার রজনীকান্ত আর জলিল অনন্ত ভাই এর মাঝে প্রতিযোগিতা হচ্ছে কে বেশি শক্তিশালী আর সেরা সেটা নিয়ে। বিচারক হল চাক নরিস, আরেক সেরা। সে নির্ধারণ করবে প্রতিযোগিতা প্রথমে চাক নরিস প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দৌড়ের আয়োজন করল। কত তাড়াতাড়ি পানির উপর দৌড়ে সাগর কে হতে পারে। কিন্তু দুই জনই একই সময়ে ১০ মিনিটে পার হল সাগর। এরপর দ্বিতীয় প্রতিযোগিতা হল লক্ষ্যভেদ। এভারেস্টের চূড়া থেকে তীর ছুড়ে রেইন ফরেস্ টের সবচেয়ে উঁচু গাছের উঁচু ডালে বসা হামিং বার্ডের মাথার পালক ফেলতে হবে। অনন্ত আর রজনীকান্ত দুইজনই একই সাথে সেটাও লক্ষ্যভেদ করল। চাক নরিস এবার চিন্তায় পড়ে গেলো। দুইজনই সমান সমান কিভাবে নির্ধারণ করবে কে সেরা। সে অনেক চিন্তা করে সর্বশেষ একটা প্রতিযোগিতা বের করল সেটা হল- একটা ১০০০ কিমি. লম্বা টানেল; সেই টানেল পার হতে হবে... কিন্তু সেই টানেলে ফুল ভলিউমে জাস্টিন বিবারের গান বাজানো হবে...এই গান সহ্য করে টানেল পার হতে হবে। এবার রজনীকান্ত আর অনন্ত পড়ল বিপদে। অনেক কঠিন প্রতিযোগিতা। অনন্ত অব্যাহতি দিল। সে বলল তার দ্বারা সম্ভব না। রজনীকান্ত অনেক ভেবে চিনতে করল কি – কানে আইপড দিল। ফুল ভলিউমে... এরপর তার পাশে ফোম দিয়ে পেঁচালো কান দিয়ে পুরো মাথায়।যাতে কোন রকমের শব্দ না ঢুকতে পারে... এভাবে সে রওনা দিল টানেলের ভিতর। সে যখনি টানেলে ঢুকল; অনন্ত হাসতে শুরু করল। কঠিন হাসি...গড়াগড়ি খেতে লাগলো সে। চাক নরিস অবাক হয়ে গেলো দেখে। কিন্তু অনন্তের হাসি থামেই না... অনেক কষ্টে যখন তার হাসি থামল, তখন চাক নরিস জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে? অনন্ত জবাব দিল “আমি রজনীকান্তের আইপডে শুধু ইভা রহমানের গান ভরে দিয়েছি। তাকে শুধু ওই গানই শুনতে হবে। আর যদি এটা বন্ধ করে তাহলে জাস্টিন বিবারের গান... সে সুস্থ অবস্থায় টানেল থেকে বের হতে পারবে না... জলিল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন