মঙ্গলবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৫

"তুমি কি আমেরিকান??"

এক পাগল এক চাইনিজকে জিজ্ঞেস করছেঃ- "তুমি কি আমেরিকান??" চাইনিজঃ- "না! আমি চাইনিজ." পাগলঃ- "তুমি আমেরিকান না???" ... ... চাইনিজঃ- "না, আমি চাইনিজ." পাগলঃ- "মিথ্যা বলছ,তুমি অবশ্যই আমেরিকান" লোকটি শেষে বিরক্ত হয়ে বললঃ- " হ্যাঁ বাবা। আমি আমেরিকান। খুশি??" পাগল এর পর বললঃ- . . . . . . . "তাই?? চেহারা দেখে তো মনেহয় তুমি চাইনিজ

এক দোকানে আগুন লেগেছে।

এক দোকানে আগুন লেগেছে। এটা দেখে মজনু চিন্তা করল, দোকানের ভেতর আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে হবে। যেই ভাবা সেই কাজ। মজনু সোজা আগুন পেরিয়ে দোকানের ভেতর ঢুকে ছয়জনকে বাইরে বেরকরে আনল। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে মজনু ধরেনিয়ে গেল। পরে তার বন্ধু থানায় গিয়ে পুলিশকে জিজ্ঞেস করল, ‘মজনু তো আগুন থেকে মানুষকে উদ্ধার করেছে। সে তো কোনো অপরাধ করেনি।’ কথা শুনে পুলিশ রেগে চিৎকার করে বলল , ‘অপরাধ করেনি মানে? সে যাদের দোকান থেকে বাইরে নিয়ে আসচ্ছে , সবাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মী।’

প্রতিযোগিতার আয়োজকেরা দৌড়ে এলেন

প্রতিযোগিতার আয়োজকেরা দৌড়ে এলেন - কনগ্রেচুলেশন পরিমল বাবু, আপনি এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী। - আরে, রাখেন আপনার বিজয়ী। আমার চশমাটা খুঁজে পাইতিছি না, পারলে একটু খুঁইজা দেন...! তন্বী আর আনিকা দুই বান্ধবী দিনভর ফোনে কথা বলে। এদিকে মাস শেষে ফোনের বিল গুনতে গিয়ে তাদের স্বামী বেচারাদের প্রাণ যায় যায়। ফোনের খরচ কমাতে দুজনের স্বামী বুদ্ধি আঁটল। তারা কম্পিউটার কিনল, সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ। তন্বী আর আনিকাকে বলা হলো, তারা যেন ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখে। পরদিন আনিকাকে ফোন করল তন্বী। তন্বী: হ্যালো আনিকা, তোকে একটা মেইল করেছি, দেখেছিস? আনিকা: হ্যাঁ! তন্বী: মেইলের দ্বিতীয় লাইনটা পড়েছিস? জানিস, প্রথম লাইনটা লিখতেই আমার দ্বিতীয় লাইনটা মনে পড়ল। আর মলি ভাবীর ঘটনাটা পড়েছিস? হা হা হা…। শোন, মলি ভাবীর ব্যাপারটা আসলে…

বই বিক্রি হইত

আগে রাস্তাঘাটে বই বিক্রি হইত এই ভাবে - "২ টাকার এই বইখানি পরিলে আপ্নে জানতে পারবেন কোন সময়স্বামী-স্ত্রী মিলন জায়েজ নাই, ২ টাকার এই বইখানি ক্রয় করিলে আপনি জানতে পারবেন কোন নারীর আটচল্লিশ টা স্বামী ছিল, ২ টাকার এই মহা মূল্যবান বই খানি পরিলেআপ্নে আরও জানতে পারবেন কোনমানুষ তাঁর শাশুড়ি কে বিয়ে করছিলো" সেই চটি বিক্রেতারা এখন ডিজিটাল হইছে। তারা এখন হকারি করে এম্নে- "এই পেজ খানি লাইক করিলে আপনি জানতে পারবেন টুনটুনির virginity ফিরে পাওয়ার গোপন রহস্য। এই পেজ খানি লাইক করিলে আপনি আরও জানতে পারবেন প্রদীপের দৈত্য কিভাবে অভিনব কায়দায় যুবতী মেয়ের সাথে কুকাম করে। মহামূল্যবান এই পেজখানি লাইক করিলে আপনি আরও জানতে পারবেন হিলারি আরএরশাদ এর গোপন অকাম-কুকাম এর কাহিনী" দেশে নতুন এক প্রতিভা অন্বেষণের আয়োজন করা হল - কার সংযম কত বেশি তা যাচাইয়ের প্রতিযোগিতা। শেষপর্যন্ত ফাইনাল রাউন্ডে টিকে থাকল মাত্র তিনজন। ফাইনালে তাদের কেবল একটি আন্ডারওয়্যার পরিয়ে হাজির করা হল বিকিনি পরা এক মারাত্মক সুন্দরী sexy যুবতীর সামনে। যুবতীকে দেখে তিনজনের প্রতিক্রিয়া যাচাই করে সিলেক্ট করা হবে বিজয়ীকে। প্রথম জন পুলিশ। সে এলেন একটি টিনের আন্ডারওয়্যার পরে। কিন্তু যুবতীকে দেখে তার penis টিন ফেঁড়ে বেরিয়ে এল। পরের জন রাজনীতিবিদ। তিনি এলেন লোহার অন্তর্বাস পরে। কিন্তু পুলিশের মত তারও লোহা ভাঙতে দেরি হল না। শেষের জন হল পরিমল জয়ধর। তিনি এলেন সুতির নরমাল আন্ডারওয়্যার পরে। কিন্তু কিসের কি, দশ মিনিট পার হয়ে গেল, তবু তার আন্ডারওয়্যার ফাটার নাম-গন্ধ নেই।

বাবুর বোন বিন্দু আর দুলাভাই নিয়াজ।

বাবুর বোন বিন্দু আর দুলাভাই নিয়াজ। আজকে নিয়াজ একটা নতুন ঝকঝকে সাইবার শট মোবাইল কিনেছে।প্রথম দিনেই মাথায় ভুত চাপল তার নিজের ও স্ত্রীর কিছু রগরগে হলিউডি মার্কা ছবি ও ভিডিও তুলবে। বিন্দুর শত আপত্তি সত্তেও রাতে তার ইচ্ছাটা পুরন করলো নিয়াজ। সকালে অফিসটাইম তারাতারি হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিল রাতে এসে সব ভিডিও ও ছবি কম্পিউটারে ট্রান্সফার করতে হবে।সারাদিন অফিসে লুকিয়ে লুকিয়ে কিছু ছবি দেখে তার বউয়ের সৌন্দর্য নিয়ে বেশ তৃপ্তি পেল সে। আর সন্ধ্যায় বাসায় আসার সময় ছিন্তাইকারীর হাতে পরে মোবাইল খোয়াল সে!!!! ইমন,তুহিন, রুমেল,জুনায়েদ, মিরা, বাবু, নিয়াজ কয়েকদিন পর আবিস্কার করল তাদের যার যার বোন বা কাছের মানুষের ছবি কয়েকটি পর্ন সাইটে আপলোডেড অবস্থায়।মাথায় হাত দেয়া ছার কিছুই করতে পারল না তারা।সাইটগুলোতে যত ভিজিটর বাড়তে থাকল তাদের বুকে যেন ততগুলো শেল এসে বিধল।শুধু তা একসাইটে না ছরিয়ে পরল আরো অনেক সাইটে।এমনকি খুব কাছের কিছু মানুষের পিসি বা মোবাইলেও। রুমেল,জুনায়েদ কিছুতেই বুঝে উঠতে পারল না কক্সবাজারের ছবিগুলোতে তাদের বোনদের ছবি আপলোড করল কে । ওগুলোতো তারা আপলোড করে নাই। তবে সবাই তারা একটা কথা বুঝলো যে পাপ তারা অন্যের বোন বা প্রিয়তমার সাথে করেছে সেই পাপ আজ তাদের নিজেদের ঘাড়ে এসে পরেছে। আর এভাইবেই আমাদের অসচেতনতার জন্য জানা বা না জানা উপায়ে আমাদের প্রিয় মানুষগুলোর ছবি বা ভিডিও চলে যাচ্ছে পর্ন সাইটে আর তার দর্শক হচ্ছে অসংখ্য বিকৃত মস্তিস্কের মানুষ। আপাতত দৃস্টিতে যা আপনার বোন, মা বা প্রিয়তমার ক্ষেত্রে যে ছবিটি শোভন তা অন্যের কাছে হয়ত ভয়াবহ বিকৃত আনন্দের খোরাক। তাই বলে কি স্বাভাবিক চলাচল বা স্বাভাবিক আনন্দ থেকে নিজেকে বিরত রাখব।না, অবশ্যই না।তাই সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে আসুন আমরা সবাই একটু সচেতন হই। আমাদের দেশের সামাজিক রীতিনীতি বা ধর্মীয় অনুশাসনকে পশ্চিমা কালচারের বড়াই করে বুড়ো আঙ্গুল না দেখাই কিংবা অভিহিত না করি “মিন মাইন্ডেড, ব্যাক ডেটেট, ক্ষেত” ইত্যাদি উপমায়। কিংবা জালাতন বা উৎপাত না করি উক্ত অনুশাসন মান্যকারিদের। নিজেরা নিজেরদের আচরন সংযত করি। সবার হয়ত ইমন,তুহিন, রুমেল,জুনায়েদ, মিরা, বাবু বা নিয়াজদের মত অভিজ্ঞতা নাও হতে পারে। তবে হতে কতক্ষন।

জুনায়েদের বোন ইমি।

জুনায়েদের বোন ইমি। ভার্সিটি হলের রুমে ঘুমিয়ে আছে। রুমে এই মাত্র প্রবেশ করলো মিরা।ঘুমন্ত ইমিকে দেখে তার মনে জেগে উঠল প্রতিশোধের আগুন। এই ইমির জন্য সে তার পছন্দের মানুষটিকে পায়নি।দ্বারা ঘুমন্ত অবস্থায় এই আলুথালু বেশের ছবি তুলে সে ছরিয়ে দিবে সব ছেলেদের মধ্যে।ক্লিক…ক্লিক… -এই বাবু তোর জন্য একটা এক্সলুসিভ জিনিস আনছি। -কি আনছস মিরা। -তোমারে ছেকা দেওয়া ইমির হাই প্রোফাইল ছবি। -দেখি…।দেখেই মাথায় আগুন চাপল বাবুর। এই ইমি তার প্রেমের অফার প্রত্যাক্ষান করে আরেকজনকে ভালবেশেছে। আজকে তার প্রতিশোধ নেয়ার পালা। হাসছে মিরা।আজ চরম একটা প্রতিশোধ নেয়া গেল।কিন্তু আক্ষেপ একজায়গায়।মিরা ফাজিলটাকে ছবিতে নায়িকাদের মত সেক্সি দেখা যাচ্ছে।তাকেও কি এমন লাগেবে? পরিক্ষা করেই দেখা যাক।বাথরুমের আয়নার সামনে যেয়ে পোশকটা সরিয়ে তুলে ফেলল নিজের একটা ছবি। ভাবল “নাহ আমার ফিগারটাও খারাপ না” সেদিনই মার্কেটে যাওয়ার সময় মিরার মোবাইলটা ব্যাগসহ চুরি হয়ে গেল!!!

মেডিকেলের পুরো ব্যাচ সহ এখন কক্সবাজারে।

তুহিনের বোন সামিয়া।মেডিকেলের পুরো ব্যাচ সহ এখন কক্সবাজারে। রাতের পার্টিতে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে। -ওহ সামিয়া, শাড়ী ছারা ওই শর্ট ড্রেসে তোকে যা সেক্সি লাগছে না। দারা তোর একটা ছবি তুলি। -শিমু, একদম ভাল হবে না বলে দিলাম। -আরে দ্বারা না……ক্লীক…ক্লীক -দ্বারা শিমু তাহলে তোরও একটা ছবি তুলি -তোল এই নাদিয়া তোরও একটা ছবি তুলি, দেনা? তুই এত মিন মাইন্ডেড কেন বলত?নিজেকে আপগ্রেড কর বুঝলি...। ক্লীক…ক্লীক সামিয়া, শিমু, নাদিয়া তিন বান্ধবি হাসতে হাসতে দেখতে লাগল স্বল্প বসনে তাদের ছবি। শিমুর পিঠা পিঠী বড় ভাই রুমেল বোনের ল্যাপটপ ব্রাউস করতে গিয়ে আবিস্কার করল আনারি ব্যাবস্থাপনায় হিডেন করে সংরক্ষন করা এইসব অর্ধনগ্ন ছবি।শুধুমাত্র বোনের ছবিগূলো বাদ দিয়ে ওর বান্ধবিদের ছবিগুলো চালান করে দিল নিজের পেন ড্রাইভে। নাদিয়ার বয়ফ্রেন্ড জুনায়েদ -এই কক্সবাজারে কি কি ছবি তুলেছ দেখাও না নাদিয়া। মোবাইলের গুলোই দেখাও। -এখন দেখান যাবে না। পারসনাল কিছু ছবি আছে।ওগুলো ডিলেট করে নেই তার পর দেখো। -আরে আমি পারসনাল ছবি গুলো দেখবনা।যেগুলো তোমার সেগুলো দেখব। -সত্যি তো -একদম সত্যি নাদিয়া জানতেও পারল না ব্লু-টুথ টেকনোলজি ব্যাবহার করে কোন এক ফাকে কয়েকটা ছবি ঠিকই জুনায়েদ ট্রান্সফার করে ফেলেছে শুধু নাদিয়ারগুলো ছারা।

ইমন কলেজে উঠেই নতুন মোবাইল কিনেছে।

ইমন কলেজে উঠেই নতুন মোবাইল কিনেছে। আনন্দে তাই সবার ছবি তুলছে।ছোট আপু রুমে শুয়ে শুয়ে বই পরছে, বড় আপু বাথরুম থেকে গোসল থেকে বের হয়েছে এরকম কত মজার ছবি। -এই কি করিস, এসব ছবি তুলছিস কেন?দেখছিস না আমি রেডি না। -দারাও না আপু একটু মজা করি……আরে তুলতে দাও না। ক্লিক……।। কয়েক ঘন্টা পরে… -কিরে নতুন মোবাইল কিনছস নাকি? -আরে তুহিন নাকি…হ, দোস্ত... -দেখি একটু -নে -দোস্ত কয়েকটা গান লই আমার মোবাইলে… -নে। আর এভাইবে ট্রান্সফার হয়ে গেল ইমনের পারিবারিক কিছু ছবি।

এমনটা ছোটবেলায় হতো না

এমনটা ছোটবেলায় হতো না, এখন কেন হচ্ছে জানার জন্যে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলো সে। ডাক্তার তাকে আপাদমস্তক পরীক্ষা করে কারণটা খুঁজে পেলেন। তিনি জানালেন, ‘দেখুন মিস্টার বাবু, আপনার বিশেষ প্রত্যঙ্গটি অত্যন্ত দীর্ঘ। সেটির ওজনে আপনার ভোকাল কর্ডে টান পড়েছে। প্রত্যঙ্গটি কেটে খানিকটা ছোট করা হলে সম্ভবত আপনার তোতলামি সেরে যাবে। আপনি রাজি হলে আমি এখন যা আছে, তার অর্ধেকে আপনাকে নামিয়ে আনতে পারি। তবে যে অর্ধেক সরিয়ে ফেলা হবে, সেটি কিন্তু আপনাকে হস্তান্তর করা হবে না। আপনি কি রাজি?’ কী আর করা, বাবু রাজি হলো। অপারেশন সফল হওয়ার পর তার তোতলামি সেরে গেলো। কিন্তু বাবুর বান্ধবী টিনা সব জানতে পেরে ভীষণ চটে গেলো। সে হুমকি দিলো, তোতলামি নিয়ে তার কোন আপত্তি নেই, কিন্তু বাবুর অর্ধেক যদিবাবু ফেরত না নিয়ে আসে, এ সম্পর্ক সে রাখবে না। কী আর করা, মাসখানেক টিনাকে বোঝানোর চেষ্টা করে বিফল হয়ে শেষে বাবু আবার গেলো ডাক্তারের কাছে। ‘ডাক্তারসাহেব, আমার অর্ধেক আমাকে ফিরিয়ে দিন।’ আব্দার জানালো বাবু, তারপর বর্তমান পরিস্থিতি ডাক্তারকে বুঝিয়ে বললো। কিন্তু ডাক্তার কোন জবাব দিলেন না, ভাবুক চোখে তাকিয়ে রইলেন তার দিকে। বাবু চটে গেলো। ‘কী হলো, কথা শুনতে পাচ্ছেন না আমার? আমার অর্ধেক আমাকে ফিরিয়ে দিন।’ ডাক্তারও চটে গিয়ে বললেন, ‘প-প-প-পারবো না। যান, ভ-ভ-ভাগেন এখান থেকে।"।

ঘুম থেকে উঠে ফোন ধরলেন তিনি।

ভোর পাঁচটার সময় বেজে উঠল করিম সাহেবের টেলিফোন। ঘুম থেকে উঠে ফোন ধরলেন তিনি। করিম সাহেব: হ্যালো। অপর প্রান্ত থেকে রাগত কণ্ঠস্বর: আমি আপনার প্রতিবেশী বলছি। আপনার কুকুরটা দীর্ঘক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করছে। তার যন্ত্রণায় আমি ঘুমাতে পারছি না। করিম সাহেব বিনয়ের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশীর নাম ও ফোন নম্বর জেনে নিয়ে ফোন রাখলেন। পরদিন ভোর পাঁচটায় প্রতিবেশীকে ফোন করলেন করিম সাহেব, ‘শুভ সকাল। আপনাকে জানাতে ফোন করেছি যে, আমার কোনো কুকুর নেই।’

বাড়ির মালিক মারা গেছেন।

বাড়ির মালিক মারা গেছেন। চাকর হাউমাউ করে কাঁদছে। প্রতিবেশীরা এসে জিজ্ঞেস করল, ‘কী হয়েছিল তোমার মালিকের?’ চাকর জবাব দিল, ‘ভারি ভুলোমনা মানুষ ছিলেন তিনি। বোধ হয় গত রাতে নিঃশ্বাস নিতে ভুলে গেছিলেন।

সিগারেট খেতে দেখে

অল্প বয়সের এক ছেলেকে সিগারেট খেতে দেখে এক ভদ্রমহিলা ধমকে উঠলেন, এই ছেলে, এই বয়সে সিগারেট খাচ্ছ লজ্জা করে না তোমার! ছেলে পাল্টা ধমকে উঠল, আপনি যে পরপুরুষের সাথে কথা বলছেন আপনার লজ্জ করে না!

তিন বন্ধুতে গল্প হচ্ছে।

তিন বন্ধুতে গল্প হচ্ছে। প্রথম বন্ধু: আমার দাদা একজন বিখ্যাত সৈনিক ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি অস্ত্র হাতে ৫০ জন যোদ্ধাকে কুপোকাত করেছিলেন। দ্বিতীয় বন্ধু: আমার দাদা ছিলেন আরও বিখ্যাত। খালি হাতেই তিনি ১০০ জন যোদ্ধাকে ধরাশায়ী করতে পারতেন। তৃতীয় বন্ধু: আজ যদি আমার দাদা বেঁচে থাকতেন, তিনিও একজন বিখ্যাত লোক হতেন। প্রথম বন্ধু: কীভাবে? তৃতীয় বন্ধু: বেঁচে থাকলে তার বয়স হতো ১৫২, এটাই কি বিখ্যাত হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়?!

একজন বাস ড্রাইভার আর এক পাইলট বন্ধুর মধ্যে কথা

একজন বাস ড্রাইভার আর এক পাইলট বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছিল— বাস ড্রাইভার: আমি মাঝে মাঝে আমার যাত্রীদের খাটিয়ে নিতে পারি। কিন্তু তুই পারিস না। পাইলট: কী রকম? বাস ড্রাইভার: তুই কি মাঝপথে প্লেন থামিয়ে বলতে পারবি, ‘ভাইয়েরা, একটু নামেন, ধাক্কা দিতে হবে?

ড্রাইভার পদে চাকরির জন্য মন্টু মিয়া গেছে সাক্ষাত্কার দিতে।

ড্রাইভার পদে চাকরির জন্য মন্টু মিয়া গেছে সাক্ষাত্কার দিতে। সাক্ষাত্কার চলছে— প্রশ্নকর্তা: আপনাকে আমার পছন্দ হয়েছে। চাকরিটা আপনাকে দেওয়া হবে। স্টার্টিং বেতন দেওয়া হবে দুই হাজার টাকা। আপনার কোনো সমস্যা নেই তো? মন্টু মিয়া: না না স্যার, আমার কোনো সমস্যা নেই। স্টার্টিং বেতন ঠিক আছে, কিন্তু ড্রাইভিং বেতন কত সেটাও তো জানা দরকার মনে হয়।

এত বড় পরিবার বিধায় কোনো বাড়িওয়ালাই তাঁকে বাসা ভাড়া দিতে চান না।

তিন ছেলে, চার মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে বিশাল পরিবার রহিম সাহেবের। এত বড় পরিবার বিধায় কোনো বাড়িওয়ালাই তাঁকে বাসা ভাড়া দিতে চান না। একদিন তিনি তাঁর স্ত্রীকে বললেন, ‘তোমরা একটু স্থানীয় কবরস্থানটা ঘুরে এসো, আমি ছেলেগুলোকে নিয়ে বের হচ্ছি।’ ঘুরতে ঘুরতে ‘বাড়ি ভাড়া হবে’ এমন নোটিশ দেখে এক বাড়িওয়ালার কাছে গেলেন রহিম সাহেব। রহিম সাহেব: ভাই, আমি কি আপনার বাসাটা ভাড়া নিতে পারি। বাড়িওয়ালা: আপনার পরিবারে কে কে আছেন? রহিম সাহেব: আমি, আমার স্ত্রী, আমার তিন ছেলে আর চার মেয়ে। তবে চার মেয়েকে নিয়ে আমার স্ত্রী এখন কবরস্থানে। বাড়িওয়ালা: আহা রে! ঠিক আছে ভাই, আপনি আমার বাসাটা ভাড়া নিতে পারেন।

ওই পাশ থেকে ফোন তুলেছে চাকর।

নিজ বাড়িতে ফোন করেছেন বাড়ির কর্তা। ওই পাশ থেকে ফোন তুলেছে চাকর। চাকর: হ্যালো, কে বলছেন? কর্তা: গর্দভ! নিজের কর্তাকেও চেন না? চাকর: কর্তাবাবু, আপনি? আপনি কোথা থেকে বলছেন? কর্তা: কেন, অফিস থেকে। চাকর: আপনি অফিসে? তাহলে আপনার পড়ার ঘরে দরজা লাগিয়ে বসে আছেন কে? কর্তা: কী বললি? নির্ঘাত চোর! শোন, বসার ঘরে আমার বন্দুকটা আছে না? বন্দুক হাতে নিয়ে সোজা দরজা ভেঙে পড়ার ঘরে ঢুকে পড়। আমি লাইনে আছি। (কিছুক্ষণ পর) চাকর: আমি দরজা ভেঙেছি, গুলিও করেছি। কিন্তু চোরটা জানালা দিয়ে লাফিয়ে বাগানে লাফ দিয়ে পালিয়েছে। কর্তা: কিন্তু আমার পড়ার ঘরের পাশে তো কোনো বাগান নেই! চাকর: তাহলে আমার ভয় হচ্ছে, আপনি বোধ হয় রং নম্বরে ফোন করেছেন!

বাড়ির সামনে একটা মরা গাধা পড়ে থাকতে দেখে

বাড়ির সামনে একটা মরা গাধা পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির মালিক গেলেন পৌরসভায় খবরটা দিতে। * কমিশনার সাহেব, আমার বাড়ির সামনে একটি গাধা মরে পড়ে আছে, দ্রুত এর একটা ব্যবস্টা নিন। * এটা তো আপনিই করতে পারেন, আর এটা তো আমাদের কাজের মধ্যে পড়ে না। * বলেন কী! এটা পৌরসভার কাজ না? * না, দেখুন, আমি কাজে বেস্ত আছি। আপনি গাধাটাকে দাহ করেন আর কবর দেন, যা করার বাড়ি গিয়ে করুন। * ঠিক আছে। কিন্তু আমি যতটুকু জানি, কেউ মারা গেলে প্রথমেই তার নিকটাত্মীয়দের খবরটা দিতে হয়। তাই দিয়ে গেলাম!

রঞ্জু মিয়া বড়ই কৃপণ।

রঞ্জু মিয়া বড়ই কৃপণ। একবার তিনি গেছেন কলা কিনতে। রঞ্জু মিয়া: কি ভাই, এই ছোট্ট কলাটার দাম কত? বিক্রেতা: তিন টাকা। রঞ্জু মিয়া: দুই টাকায় দেবে কি না বলো? বিক্রেতা: বলেন কি! কলার ছোকলার দামই তো দুই টাকা। রঞ্জু মিয়া: এই নাও এক টাকা। ছোকলা রেখে আমাকে কলা দাও!

ডাক্তার ও রোগী

(১) ডাক্তার ও রোগী ডাক্তার রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বললেন- ডাক্তারঃ আপনার খাবার সবসময় ঢাকা রাখবেন। রোগীঃ ঢাকা তো অনেক দূর। কুমিল¬ায় রাখলে চলবে না? (২) গরু স্যার ছাত্রকে প্রশ্ন করছে। স্যারঃ মিঠু, বলতো গরু আমাদের কি দেয়? মিঠুঃ গরু? গরু আমাদের গুঁতো দেয় স্যার!! (২) ছাত্র স্যার ক্লাশে সবাইকে ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে রচনা লিখতে দিয়েছেন। সবাই মন দিয়ে লিখে চলছে। ৩-৪ মিনিট পরেই স্যার হঠাৎ দেখেন রন্টি জানালা দিয়ে উদাস নয়নে বাইরের মাঠের দিকে তাকিয়ে আছেন। স্যার রন্টিকে ঝাড়ি দিয়ে জানতে চাইলেন, ‘এই তুমি লিখছো না কেন?’ রন্টি: স্যার আমার লেখা হয়ে গেছে! স্যার: মানে? কই তোমার খাতা দেখি? রন্টি স্যারকে খাতা এগিয়ে দিলেন, স্যার দেখলেন খাতায় লেখা রয়েছে ‘বৃষ্টির কারনে ম্যাচ পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হলো।’